Google AdSense Earning

আপনার ওয়েবসাইট কি অ্যাডসেন্স এর জন্য উপযুক্ত?

by Moin Uddin Ahmed Tipu
4640 views

গুগল অ্যাডসেন্স (Google AdSense) সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি অনলাইন আয়ের মাধ্যম। তাই অনলাইনে আয় করতে আসা প্রায় সকলেই একবার গুগল অ্যাডসেন্স নিয়ে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করেন তবে প্রথমেই তাদের হার মানতে হয়। কারণ দেখা যায় গুগল অ্যাডসেন্স বারবারই তাদের ওয়েবসাইট বাতিল (Reject) করে দিচ্ছে। এর কারণ গুগল অ্যাডসেন্স এর নিয়মনীতি (Terms and Condition)। গুগল অ্যাডসেন্স সকল ওয়েবসাইটকে সাপোর্ট করে না। শুধু মাত্র নিয়ম মেনে তৈরি করা ওয়েবসাইট গুলোই গুগল অ্যাডসেন্স ব্যবহার করার অনুমতি পাবে। তাই প্রথমেই গুগল অ্যাডসেন্স এর নিয়মনীতি জেনে নেয়া ভালো।

আবার গুগল অ্যাডসেন্স ব্যবহারের অনুমতি পেলেই যে আপনি সাকসেস (Success) হবেন এমন কোন কথা নেই। গুগল অ্যাডসেন্স পেয়ে সাকসেস হতে আপনাকে অবশ্যই কষ্ট করতে হবে এবং গুগল এর সকল নিয়ম ফলো করে আপনার ওয়েবসাইট এর গুনগতমান বাড়বার পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের বারবার ফিরে আসার কারণ তৈরি করতে হবে। কারণ যত বেশী ব্যবহারকারী বাড়বে ততো বেশী আপনার সাকসেস হবার সুযোগ বাড়বে।

 

গুগল অ্যাডসেন্স থেকে রিজেক্ট হবার কারনঃ

  • গুগল অ্যাডসেন্স এর নিয়মনীতি অনুসারে কিছু বিষয় নিয়ে কনটেন্ট (Content) থাকলে তা অ্যাডসেন্স এর জন্য অনুমতি পাবেনা। যেমনঃ অতিরিক্ত খারাপ ভাষা ব্যবহার করে তৈরি কনটেন্ট, প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য তৈরি কনটেন্ট, ড্রাগস নিয়ে তৈরি কনটেন্ট, কপিরাইটকৃত কনটেন্ট, হিংসাত্মক কনটেন্ট, কোন ব্যক্তি বা গ্রুপ বা কোম্পানিকে আক্রমণ করে তৈরি করা কনটেন্ট, হ্যাকিং ও ক্র্যাকিং বিষয়ক কনটেন্ট, অস্ত্র বিষয়ক কনটেন্ট বা যেকোনো বেআইনি কনটেন্ট।

 

  • যদি ওয়েবসাইট এর ডিজাইনের (Design) কারণে ব্যবহারকারীদের সমস্যায় পড়তে হয়, ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে কষ্ট করতে হয় বা ওয়েবসাইট এর কোন তথ্য বা পোস্ট সহজে বের করা সম্ভব না হয় তবে সেই সাইট অ্যাডসেন্স থেকে রিজেক্ট হবে। অর্থাৎ অ্যাডসেন্স পেতে হলে আপনার ওয়েবসাইট হতে হবে সহজে ব্যবহারযোগ্য, যাতে ব্যবহারকারীরা সহজেই আপনার ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে ও প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে পেতে পারে।

 

  • যদি আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর এমন কোন সোর্স থেকে আসে যা অ্যাডসেন্স এর বিরোধী তবেও আপনার ওয়েবসাইট রিজেক্ট হতে পারে। যেমন পেইড টু ক্লিক (Paid to Click), স্প্যাম ইমেইল (Spam Email) বা অবাঞ্চিত ইমেইল মার্কেটিং (Unwanted Email Marketing) ইত্যাদি। অর্থাৎ ভিজিটরকে ইচ্ছেকৃত ভাবে আপনার পছন্দমতো পেইজ এ (Redirect) নিয়ে আসা যাবে না।

 

  • এটা সত্যি না যে আপনার ওয়েবসাইট এ অ্যাডসেন্স পেতে প্রচুর ভিজিটর থাকতে হবে কিন্তু অ্যাডসেন্স পেতে আপনার ভিজিটর কিছু হলেও প্রয়োজন। কেননা যদি আপনার ওয়েবসাইট এ কোন ভিজিটর না থাকে তবে আপনার আয়ও হবে না। তাই গুগল সবসময় আপনার ওয়েবসাইট অ্যাডসেন্স এর জন্য বিবেচনা করতে আপনার ওয়েবসাইট এ নুন্নতম ভিজিটর আছে কিনা তা দেখবে। তবে এক্ষেত্রে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জন ভিজিটর হলেও আপনার সাইট অনুমতি পাবে। আর কোন মতেই এসকল ভিজিটর ফেইক অর্থাৎ ভুয়া ভিজিটর হতে পারবে না।

 

  • আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইট নতুন তৈরি করে থাকেন এবং সার্চ ইঞ্জিন (Search Engine) এ আপনার ওয়েবসাইট সাবমিট (Submit) করে না থাকেন তবেও আপনার ওয়েবসাইট এর অ্যাডসেন্স অ্যাপ্লিকেশান বাতিল করা হতে পারে। অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন এ আপনার ওয়েবসাইট দেখানোর জন্য যা যা করতে হবে তা প্রথমেই করে নিতে হবে।

 

  • অনেক সময় অনেকেই কনটেন্ট তৈরি করার সময় অনেক পোস্ট বা ছবি অন্য ওয়েবসাইট থেকে কপি করে থাকেন এবং রেফারেন্স (Reference) হিসেবে লিংকও দিয়ে থাকেন। তবুও এটা গুগল এর নিয়ম বহির্ভূত। তবে কপিরাইটকৃত সেই কনটেন্ট লিংক সহকারে প্রকাশ করার অনুমতি থাকলে বা অনুমতি বিষয়ক সোর্সটি দিলে সমস্যা হবে না। অন্যথায় আপনার অ্যাডসেন্স অ্যাপ্লিকেশান রিজেক্ট হবে।

 

  • অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো ব্যবহারকারী নির্ভর কনটেন্ট প্রকাশ করে। যেমন ফোরাম (Forum) বা মাল্টি ব্লগ সাইট (Multi Blog Site)। এসকল ওয়েবসাইট এর কনটেন্ট যথাযথ ভাবে মনিটর করার ব্যবস্থা থাকতে হবে। অর্থাৎ যদি ব্যবহারকারীরা গুগল অ্যাডসেন্স পরিপন্থী কোন পোস্ট করে তা মুছে ফেলতে বা সেখানে বিজ্ঞাপন যাতে দেখানো না হয় তার ব্যবস্থা থাকতে হবে। অন্যথায় অ্যাডসেন্স এসকল ওয়েবসাইট এর জন্য নয়।

 

পরবর্তী পোস্টঃ অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে সফল হওয়ার সূত্র

Related Posts

Leave a Comment